করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গতবছরের ১৮ মার্চ থেকে মালয়েশিয়া জুড়ে লকডাইন কার্যকর রয়েছে ।
লকডাইনের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে জন জীবন, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক সকল কার্যক্রম।

বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বন্ধ রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেক সেবা মূলক কার্যক্রম।

বিশেষ করে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় হাজার হাজার অভিবাসী কর্মীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও নবায়নের আবেদন করলেও মিলছে না ভিসা। এ কারনে দেশটিতে বসবাসরত বৈধ কর্মীদের দূরচিন্তার কোন শেষ নেই।

এদিকে ভিসা সমস্যার কথা শিকার করে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের ডি জি দাতুক খায়রুল জাইমি বলেন অচিরেই ভিসা পাওয়ার সমস্যা সমাধান হতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান।

নিয়োগকর্তদের আবেদনে সাড়া দিয়ে অক্টোবরের মধ্যে আটকে থাকা ভিসা নবায়নের এ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে বলে জানান ডি জি।
কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাদের কার্যক্রম ঠিক মত পরিচালনা করতে না পারায় ২ লক্ষধিক বেশী অভিবাসী কর্মীদের ভিসা জটিলতা তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ সমস্যা সমাধানে টাস্কফোস গঠন করা হয়েছে।

তবে ভিসা না পাওয়াদের মধ্যে বেশির ভাগ অভিবাসী কর্মীরা কুয়ালালামপুর, সেলঙ্গার, সেম্বিলানের। এই সব এলেকায় করোনা সংক্রমণ বেশি থাকায় ন্যাশনাল রিকভারি প্লানের প্রথম ধাপ কার্যকর রয়েছে।

নিয়োগকর্তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে অনলাইনে মাধ্যমে ভিসা নবায়নের ফি জমা দিতে পারবেন বলে জানান তিনি।

মালয়েশিয়া অবৈধভাবে বসবাসকারী কর্মীদের গ্রেফতারে নিয়মিত অভিজান চলে, তবে এ সময় ভিসা নবায়নের জন্য জমা দিয়ে স্টিকার না পাওয়া অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্তা নেওয়া হবে না বলে জানান।
মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রাধান ধাতুক খায়রুল জাইমি দাউদ।